স্টাফ রিপোর্টারঃ তিন সন্তানের জননী বিধবাকে ধর্ষণ চেষ্টার পর হাসপাতালে ঘুমন্ত অবস্থায় কপালে সিঁদুর পরিয়ে স্ত্রী দাবি করেছে এক লম্পট। এর পূর্বে দলবল নিয়ে হাসপাতাল থেকে অপহরণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় ওই লম্পট। এমন লোমহর্ষক ঘটনা ঘটায় কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল চা বাগানের দিপু লাইনে মৃত কৈলাশ কানুর ছেলে শঙ্কর কানু ওরপে বাবুল (২৭) এবং তার দুই সহযোগী।
শারিরিকভাবে নির্যাতনের পর ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হলে আহতবস্থায় কুলাউড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা বিধবাকে আজ মঙ্গলবার ভোরে কপালে সিঁদুর পরায় লম্পট শঙ্কর কানু।
মঙ্গলবার দুপুরে বিধবার সাথে কথা বলে জানা যায়- দুই-তিন বছর আগে স্বামী পরলোকগমন করেন। এরপর থেকে বাগানে কাজ করে তিন সন্তান নিয়ে বসবাস করেন তিনি। গত ৩১ ডিসেম্বর ভোরে আসবাবপত্র পরিস্কার করতে বাড়ির পাশে বাগানের ৯০ নং সেকশনের ছড়ায় গেলে শঙ্কর কানু গলার মফলার দিয়ে বিধবার চোখ বেঁধে বাগানের ভিতরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় বিধবা বাধা দিলে শারিরিকভাবে নির্যাতন করে তাকে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে বিধবার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে পালিয়ে যায় লম্পট শঙ্কর। পরে আহতবস্থায় বিধবাকে স্থানীয়রা কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। চিকিৎসক তার শারিরিক অবস্থার অবনতি দেখে তাকে হাসপাতালে ভর্তি রাখেন।
এদিকে পরদিন সোমবার বিকেলে দলবল নিয়ে বিধবাকে অপহরণের চেষ্টা চালায়। পরে হাসপাতাল থেকে জোরপূর্বক ছাড়পত্র দিয়ে আমায় বের করে দেওয়া চেষ্টাও ব্যর্থ হয়ে মঙ্গলবার ভোরে (২ জানুয়ারি) হাসপাতালের বেডে ঘুমন্ত অবস্থায় মাথায় সিঁদুর দিয়ে স্ত্রী দাবি করে টানা হেছড়া করলে আসপাশের বেডে চিকিৎসাধীন রোগীদের স্বজনদের তোপের মুখে পালিয়ে যায় শঙ্কর।
ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) বিনয় ভূষণ রায়। মঙ্গলবার বিকেলে বিধবা বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখ করে কুলাউড়া থানায় অভিযোগ করেন।
কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) বিনয় ভূষণ রায় জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত লোমহর্ষক। লম্পট শঙ্করকে গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।