কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় একটি দাখিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৩) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একই মাদ্রাসার দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত দুই ছাত্রকে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করলেও ঘটনার এক সপ্তাহেও থানায় এ বিষয়ে কোনও মামলা হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২ অক্টোবর সকাল ৯টার দিকে মাদ্রাসায় কোনও ছাত্র-শিক্ষক না থাকায় ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে একই মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার্থী দর্গাহপুর গ্রামের আতিফ চৌধুরী, আবিদ আলী ও বহিরাগত ছাত্র নোয়াগাঁও গ্রামের মুহিবুর রহমান মুখ বেঁধে মাদ্রাসার নতুন ভবনের বাথরুমে নিয়ে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে রোববার দুপুরে ওই মাদ্রাসার সুপার কাজী মাওলানা আলম চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গনমাধ্যমকে বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই মাদ্রাসার দুই ছাত্র আতিফ ও আবিদকে ঘটনার দিনই স্থায়ীভাবে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এদিকে, নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, ধর্ষণের বিষয়টি টাকার বিনিময়ে মীমাংসার কথা বলে একটি প্রভাবশালী মহল প্ররোচণা দিয়ে থানা বা আদালতে মামলা করতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
কমলগঞ্জ থানার ওসি মো. বদরুল হাসান গনমাধ্যমকে জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ আসেনি। ঘটনার খবর পেয়ে শনিবার বিকেলে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষাসহ থানায় মামলা দেয়ার জন্য তার পরিবারকে বলা হয়েছে।