অনলাইন ডেস্কঃ সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্ট, জিন্দাবাজর, ও চৌহাট্রা এলাকার সড়কে থাকা অবৈধ হকারদের ফের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। সিটি কর্পোরেশন ও কোতোয়ালী থানার পক্ষ থেকে আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।
এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানার ইনস্পেক্টর বিষ্ণু বৈদ্য রায় জানান, আদালতের নির্দেশনায় নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে এবং তা চলবে। গত কয়েক দিন আগেও আদালতের র্নিদশনায় অভিযান চালানো হলেও ঈদকে উপলক্ষ করে টিলে-টালা হয়ে যায় অভিযান। এতে আবারও হকারা দখলেনেন ফুটপাত। এতে গত রোববার আদালত তলব করেন মেয়র আরিফ ও কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি গৌছুল হোসেনকে। তাই আজ অভিযানে নামে সিটি কর্পোরেশন ও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ।
উল্লেখ্য,গত সোমবার সিলেটের আদালত প্রাঙ্গণসহ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সিটি কর্পোরেশন কার্যালয় সংলগ্ন ফুটপাতে অবৈধ দখলদার, নেপথ্যে থাকা দখলদার পক্ষের ব্যক্তিদের নাম, ঠিকানা ও পরিচয় সনাক্তকরণের লক্ষ্যে সিলেটের বিভিন্ন সেক্টরের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে জরুরী বৈঠক করে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।
সোমবারের সভায় নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩ দিনের মধ্যে সিলেটের আদালত প্রাঙ্গণসহ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সিটি কর্পোরেশন কার্যালয় সংলগ্ন ফুটপাতে অবৈধ দখলদারদের সরে যাওয়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়ে মাইকিং করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল।
এর আগে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ মে বৃহস্পতিবার সিলেটের মুখ্য মহানগর বিচারিক হাকিম মো. সাইফুজ্জামান হিরো জনগুরুত্বপূর্ন প্রতিষ্ঠানের সংলগ্ন ফুটপাতে অবৈধ দখলদার, নেপথ্যে থাকা দখলদার পক্ষের ব্যক্তিদের নাম, ঠিকানা তদন্ত করে সাত দিনের মধ্যে তা আদালতে দাখিল করতে সিটি কর্পোরেশনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ কাজে সিটি কর্পোরেশনকে সহায়তা করতে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
দীর্ঘদিন ধরে নগরীর কোর্ট পয়েন্ট, জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, আদালত প্রাঙ্গণ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সিটি করপোরেশন কার্যালয়, বন্দর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করে আসছিল হকাররা। এতে চলাফেরায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় নগরবাসীকে।