অনলাইন ডেস্কঃ
ক্লাসে অ্যাটেন্ডেস না দেওয়ায় খুদে পড়ুয়াকে নৃংশস শাস্তি দিলেন এক
শিক্ষিকা। নাম ডাকার সময় সাড়া না দেওয়ায় আট বছরের খুদে পড়ুয়ার গালে
আছড়ে পড়ল একের পর এক চড়।
শিক্ষিকার
অমানবিক এই রূপ দেখা গেল ভারতের লক্ষ্ণৌর এক অভিজাত স্কুলে। অভিযুক্ত
শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷
নাম
করা সেই স্কুলের সিসিটিভিবন্দি দু’মিনিটের ওই ফুটেজ দেখে আঁতকে উঠছেন
সকলেই। সেই ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষিকা রাত্রিকা ভি জন
ক্লাসে অ্যাটেন্ডেস নেওয়ার সময় উত্তর না দেওয়ায় রীতেশ গুপ্তা নামের
ছাত্রের উপর প্রচন্ড চিৎকার করছেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ছাত্রটিকে প্রচন্ড
জোরে একের পর এক থাপ্পড় মারতে শুরু করেন ওই শিক্ষিকা। ২ মিনিটে কম করে ওই
খুদে পড়ুয়াকে ৪০ টি চড় মেরেছেন তিনি।
এই
অত্যাচারে ছোট্ট রীতেশ কেঁদে ককিয়ে বার বার ছেড়ে দেওয়ার কথা বলতে থাকে।
কিন্তু তার আর্তনাদে বিন্দুমাত্র কর্ণপাত না করে ছোট্ট ছেলেটিকে মারতেই
থাকেন ওই শিক্ষিকা রাত্রিকা ভি জন। তাতেও রাগ না মেটায় ছাত্রটির কলার ধরে
হিঁচড়ে টেনে আনেন শিক্ষিকা। প্রায় গলা টিপে ধরে মাথা ঠুকে দেন
ব্ল্যাকবোর্ডে।
এই
চুড়ান্ত অমানবিক অত্যাচারে আহত পড়ুয়াটি বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
আতঙ্কিত রীতেশের আঘাত দেখে প্রশ্ন করলেও ভয়ে সে কোনও কথা বলেনি। ছেলের
অবস্থা দেখে রীতেশের বাবা তার সহপাঠীদের প্রশ্ন করলে কাছে সমস্ত বিষয়টি
জানতে পারেন।
সব
শুনে রীতেশের বাবা মহেন্দ্র গুপ্তা স্কুলের প্রিন্সিপ্যালের সঙ্গে কথা
বলেন। সব শুনে সিসিটিভি ফুটেজ চেক করা হলে ক্লাসে শিক্ষিকার অমানবিক ও
নৃশংস রূপ সামনে আসে। তৎক্ষণাৎ ক্রুদ্ধ প্রিন্সিপ্যাল অভিযুক্ত শিক্ষিকা
রাত্রিকা ভি জনকে সাসপেন্ড করে দেন। রীতেশের বাবাও ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে
পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও নিজ কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন ওই
শিক্ষিকা।