উৎসব শেষে বিদায়ের সুর

উৎসব শেষে বিদায়ের সুর


অনলাইন ডেস্কঃ পূর্ণার্থীর অঞ্জলি, আরতি এবং ঢাকের বাজনা শেষে বেজেছে বিদায়ের সুর। টানা দুর্গোৎসবের পর প্রতিমা বির্সজন পালা।

এ বির্সজনের মাধ্যমে শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মালম্বীদের অন্যতম বৃহৎ এই ধর্মীয় উৎসবের। শনিবার বিকেলে দূর্গাকে বিদায় জানাতে ভক্তদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত। তেল-সিঁদুর পরিয়ে, মুখে মিষ্টি আর পান খাইয়ে দিয়ে বিদায় জানানো হয়েছে দুর্গাকে। এ বিদায়ের বিচ্ছেদ সুর বেজে উঠে সৈকত তীরে।
শুক্রবার রাতে মহানবমীরতে জেএমসেন হল, হাজারীলেন, বকশিরহাট, কুসুম কুমারী স্কুল, রাজাপুকুর লেন, হেমসেন লেন, আসকার দীঘির পশ্চিম পাড়ের রামকৃষ্ণ মিশন, গোসাইলডাঙ্গা একতা গোষ্ঠী, দেওয়ানজী পুকুরপাড়, পাথরঘাটা, চেরাগি পাহাড়, দক্ষিণ নালাপাড়া, ঘাটফরহাদবেগসহ নগরীর সকল পূজা মন্ডপে দুর্গার আশীর্বাদ নিতে আসেন পূণার্থীরা।  

দুর্গাকে ঘিরে মন্ডপে মন্ডপে চলে পূজা আরতি, পূষ্পাঞ্জলি, আলোকসজ্জা এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। মহানগরী ও জেলার ১৫ উপজেলায় এবার ১ হাজার ৫০৪টি সার্বজনীন ও ২৭৬টি পারিবারিক মণ্ডপে এবং নগরীর ২৬৬ মণ্ডপে এবার দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়।  

শনিবার সকালে বিজয়া দশমীতে নগরীর প্রধান পূজা মন্ডপ জেএমসেন হলে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ মহানগর শাখার উদ্যোগে পূষ্পাঞ্জলি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বেলা ১২টার পর থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়। পতেঙ্গা সৈকত ছাড়াও নগরীর কাট্টলী সৈকত, কালুরঘাট, সদরঘাট বাঁশঘাটা, ফিরিঙ্গিবাজার, পারকি সমুদ্র সৈকতসহ বিভিন্ন বড়পুকুর, দীঘি, খাল ও নদীতে মা দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।

সনাতনী শাস্ত্রমতে, মহালয়ার মাধ্যমে মর্ত্যলোকে আগমন ঘটে দুর্গার। মহালয়া থেকে বিজয়া দশমী পর্যন্ত পৃথিবীতে বা বাপের বাড়িতে অবস্থান করেন দুর্গা। বিজয়া দশমী শেষে দুর্গা বাপের বাড়ি থেকে বিদায় নিয়ে কৈলাশে প্রত্যাবর্তন করেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post