অনলাইন ডেস্কঃ
বন্যাদুর্গত এলাকায় কর্মরত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সব
কর্মকর্তা-কর্মচারীর ঈদের ছুটি বাতিল করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ
মন্ত্রণালয়। বন্যায় ত্রাণ সামগ্রী সুষ্ঠুভাবে বিতরণের সুবিধার্থে এ
সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি এনজিওদের ঋণের কিস্তি বন্ধ রাখার অনুরোধ
জানিয়েছে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়। গতকাল মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ
তথ্য জানানো হয়।
মন্ত্রণালয়ের
সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ ওমর ফারুক দেওয়ান জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া শরীয়তপুরের জাজিরা ও নড়িয়া
উপজেলায় পদ্মা নদীর ভাঙনে ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ
উপলক্ষে আয়োজিত আলাদা দুটি সমাবেশে এ ঘোষণা দেন। এনজিওদের সুদের কিস্তি
স্থগিত রাখার অনুরোধ করেন মন্ত্রী। এ সময় সংসদ সদস্য লে. কর্নেল. (অব.)
শওকত আলী, বিএম মোজাম্মেল হক, অ্যাডভোকেট নাভানা আক্তার, দুর্যোগ
ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল, আওয়ামী লীগের
সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীমসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা
উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে মন্ত্রী বলেন, বন্যাপ্লাবিত মানুষের কষ্ট লাঘবে
পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। চাহিদা থাকলে আরো পাঠানো হবে। শেখ
হাসিনার সরকারের শাসনামলে খাদ্যের জন্য কেউ কষ্ট করবে না।
বন্যার
পানি নেমে যাওয়ার পর কৃষকদের বিনামূল্যে সার, কীটনাশক ও বীজ দেয়া হবে। নদী
ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত সব স্থাপনা বন্যার পর পুনঃনির্মাণ করা হবে। যতক্ষণ
বন্যার পানি নেমে না যায় এবং মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি না হয়, ততক্ষণ
ত্রাণ দেয়া অব্যাহত থাকবে।