স্টাফ রিপোর্টারঃ আর কিছুদিন পরেই পবিত্র ঈদ উল আযহা, যা মুসলমানদের সবথেকে
বড় ঈদ এবং পবিত্র হজ্জের দিন। এই পবিত্র ঈদ উল আযহার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যে
বিষয়টি রয়েছে, সেই বিষয়টি হচ্ছে পবিত্র কুরবানী তাই এর মাসালা মাসায়েল জানা থাকা
মুসলিম হিসেবে প্রত্যেকের জন্য ফরজ।
বিষয়ঃ কুরবানীর মাসালা ও যাদের উপর পবিত্র কুরবানী করা ওয়াজিব।
ধনী, যার
কাছে পবিত্র কুরবানীর দিন গুলোর মাঝে অর্থাৎ ১০ ১১ ১২ ই জিলহজ তারিখে সাড়ে সাত ভরি
সোনা বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপা বা এই উভয় অলঙ্কারের সমপরিমান মূল্য বা এ পরিমান ব্যবসায়িক
পন্য থাকবে। অথবা যেকোনো দুটো, বা তিনটার, বা চারটার সমন্বয়ে
নেসাব হলেই ওয়াজিব হবে। বা অতি প্রয়োজনিয় জিনিসের বাহিরে অন্য বস্তু রয়েছে যা নেসাব
পরিমাণ হবে।
কাদের উপরে ওয়াজিব?
মুসলিম, স্বাধীন, মুকিম, বালেগ। চাই সে পুরুষ হোক অথবা মহিলা হোক পত্যেকের
উপর কুরবানী করা ওয়াজিব।
বিঃদ্রঃ হাজি মুসাফির বা ছোট নাবালেগ বাচ্চার উপর কুরবানী ওয়াজিব
নয়।
যে পশু কুরবানী দেয়া যাবেঃ গরু, মহিষ, উট, ভেড়া, ভেড়ি, দুম্বা, ছাগল, খাসি ইত্যাদি।
কুরবানীর কোন পশুর কত বছর হওয়া অত্যাবশ্যক?
গরু, মহিষ, পূর্ণ দুই বছর হতে হবে। উট
পূর্ণ পাঁচ বছর হতে হবে। ভেড়া, ভেড়ি, ছাগল খাসি, পাঠা, দুম্বা, ইত্যাদি এগুলোর পূর্ণ
এক বছর হতে হবে।
বিঃদ্রঃ ভেড়া একবছরের কিছু কম হলেও চলবে।
কুরবানীর সময় কখন?
১০, ১১, ১২ ই পবিত্র জিলহজ্জ মাসের দিনের বেলায় ঈদের নামাজ পড়ার
পর। রাতে ও দেয়া যাবে। তবে রাতে জবেহ না করাই উত্তম।
কুরবানী কে করা উত্তম?
নিজের কুরবানী নিজে করাই উত্তম যদি জবেহ করার পদ্ধতি জানা থাকে। অন্যথায়
অন্যের দ্বারাও করানো যাবে যদি আমল আখলাক আর আক্বিদা ঠিক থাকে।
কুরবানী গোস্তের ভাগ কয়টা করা উত্তম ?
তিন ভাগ। যথা, এক ভাগ নিজের, একভাগ গরিব মিসকিন, অসহায়দের দিবে, আরেক ভাগ আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী সহ সকলকে দেয়া মুস্তাহাব।
বিঃদ্রঃ পরিবারের লোকজন বেশী হলে গোশতের প্রয়োজন থাকলে
সম্পূর্ণ গোশত কাউকে না দিয়েও পরিবারের জন্য রেখেও খেতে পারবে। তবে তা হতে হবে গোশতের লোভ না করে প্রয়োজনে।
যে কুরবানীর গোস্ত কুরবানী দাতা খেতে পারবে নাঃ
যে কুরবানী সময়ের মাঝে আদায় করা যায়নি।
যে কুরবানী নজর বা মান্নতের।
হজের মাঝে যে দম জরিমানা স্বরূপ দেয়া হয়েছে।
কোন পশুতে কত জন শরীক থাকতে পারবে ?
গরু, মহিষ, উটের মাঝে সর্বোচ্চ সাত জন।
ছাগল, ভেড়া, ভেড়ি, দুম্মাতে এক জন।
পশু জবেহের জন্য কয়টি রগ কাটা অত্যাবশ্যক?
চারটি যথা, কন্ঠ বা শ্বাসনালি, খাদ্যনালি, আর দুটো শাহরগ, এ রগ-গুলোর নাম নিন্মরুপ। হলকুম, মাররি, ও দিজান।
চামড়ার মাস আলা
চামড়া ধনী, গরিব, ফকির, মিসকিন সকলকেই হাদিয়া হিসেবে দেয়া জায়েজ আছে এবং এর দ্বারা নিজে
ও উপকার অর্জন করা জায়েজ কিন্তু আমল আখলাক আক্বিদা শুদ্ব হওয়া আবশ্যক।
লিখেছেনঃ ইসলামিক ব্যক্তিত্ব।
মুহম্মদ, রাজীব হাসান চৌধুরী।