কুলাউড়া প্রতিনিধিঃচা শ্রমিকদের ভূমি অধিকার নিশ্চিতকরণ, শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থা চালুকরণ, চা-বাগানের ৮৫ জনগোষ্ঠীকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর তালিকায় অন্তঃভুক্তকরণসহ ৯ দফা দাবিতে মানব বন্ধন করেছে কুলাউড়ার ২৩টি চা-বাগানের শ্রমিকরা। ২৮ জুলাই (শুক্রবার) দুপুর ১২ টার দিকে কুলাউড়া পৌর শহরের স্টেশন চৌমুহনী এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। তাদের ৯ দফা দাবির মধ্যে আছে চা শ্রমিকদের ভূমি অধিকার নিশ্চিতকরণ, শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থা চালুকরণ, চা-বাগানের ৮৫ জনগোষ্ঠীকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর তালিকায় অন্তঃভুক্তকরণ, চা-শ্রমিকদের ভাষা ও সংস্কৃতির ঐতিহ্য রক্ষায় কালচারাল একাডেমী প্রতিষ্ঠা, শিক্ষার মান উন্নয়নে পর্যাপ্ত প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, কলেজ প্রতিষ্ঠা করা, জাতীয় বাজেটে চা জনগোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ, চা বাগানে বিদ্যমান নানাবিদ সমস্যা নিরসনে একটি কমিশন অথবা মন্ত্রনালয় গঠন করা, চা বাগানে সরকারী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা, চা-শ্রমিক শিশুদের কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা সহ উপবৃত্তির ব্যবস্থা চালু করা। উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ চা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র, মাইক্রোসফট এর ব্র্যান্ড এম্বেসেডর, জয় বাংলা এওয়ার্ডপ্রাপ্ত (চা-শ্রমিকদের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি) মোহন রবি দাস, বাংলাদেশ চা নারী ফোরামের সভাপতি গীতা রানী কানু এবং বাংলাদেশ চা ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রিয় সদস্য গণেশ লাল কানু। চা-শ্রমিক সন্তান মোহন রবি দাস বলেন, বৃটিশদের রেখে যাওয়া পতিত আইন দিয়ে আমাদের বন্দি রাখা হয়েছে। বাগানে চাকরীর তিনমাস পর স্থায়ীকরণ করার কথা থাকলেও আড়াই লক্ষাধিক চা শ্রমিকরা সারাজীবন চাকরী করেও স্থায়ী হচ্ছে না। মানুষের মৌলিক ৫টি অধিকার থেকে আমরা বঞ্চিত। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ব্যবস্থা থেকে চা শ্রমিকরা বঞ্চিত। দলিল দস্তাবেজ না থাকায় যখন তখন উচ্ছেদ করা হয় চা শ্রমিকদের। তিনি আরও বলেন, অবিলম্বে ৯ দফা দাবি বাস্তবায়ন করা হোক নতুবা আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে দাবি আদায় করতে বাধ্য করা হবে। উল্লেখ্য, কুলাউড়া ছাড়াও ৯ দফা দাবিতে ঢাকা প্রেসক্লাব, সিলেটের শহীদ মিনার, মাধবপুর, চুনারুঘাট, বাহুবল, হবিগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, শমশেরনগর, মুন্সিবাজার (রাজনগর)সহ মোট ১৩টি স্থানে একযোগে মানববন্ধন করেছে চা শ্রমিকরা।
কুলাউড়া প্রতিনিধিঃচা শ্রমিকদের ভূমি অধিকার নিশ্চিতকরণ, শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থা চালুকরণ, চা-বাগানের ৮৫ জনগোষ্ঠীকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর তালিকায় অন্তঃভুক্তকরণসহ ৯ দফা দাবিতে মানব বন্ধন করেছে কুলাউড়ার ২৩টি চা-বাগানের শ্রমিকরা। ২৮ জুলাই (শুক্রবার) দুপুর ১২ টার দিকে কুলাউড়া পৌর শহরের স্টেশন চৌমুহনী এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। তাদের ৯ দফা দাবির মধ্যে আছে চা শ্রমিকদের ভূমি অধিকার নিশ্চিতকরণ, শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থা চালুকরণ, চা-বাগানের ৮৫ জনগোষ্ঠীকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর তালিকায় অন্তঃভুক্তকরণ, চা-শ্রমিকদের ভাষা ও সংস্কৃতির ঐতিহ্য রক্ষায় কালচারাল একাডেমী প্রতিষ্ঠা, শিক্ষার মান উন্নয়নে পর্যাপ্ত প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, কলেজ প্রতিষ্ঠা করা, জাতীয় বাজেটে চা জনগোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ, চা বাগানে বিদ্যমান নানাবিদ সমস্যা নিরসনে একটি কমিশন অথবা মন্ত্রনালয় গঠন করা, চা বাগানে সরকারী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা, চা-শ্রমিক শিশুদের কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা সহ উপবৃত্তির ব্যবস্থা চালু করা। উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ চা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র, মাইক্রোসফট এর ব্র্যান্ড এম্বেসেডর, জয় বাংলা এওয়ার্ডপ্রাপ্ত (চা-শ্রমিকদের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি) মোহন রবি দাস, বাংলাদেশ চা নারী ফোরামের সভাপতি গীতা রানী কানু এবং বাংলাদেশ চা ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রিয় সদস্য গণেশ লাল কানু। চা-শ্রমিক সন্তান মোহন রবি দাস বলেন, বৃটিশদের রেখে যাওয়া পতিত আইন দিয়ে আমাদের বন্দি রাখা হয়েছে। বাগানে চাকরীর তিনমাস পর স্থায়ীকরণ করার কথা থাকলেও আড়াই লক্ষাধিক চা শ্রমিকরা সারাজীবন চাকরী করেও স্থায়ী হচ্ছে না। মানুষের মৌলিক ৫টি অধিকার থেকে আমরা বঞ্চিত। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ব্যবস্থা থেকে চা শ্রমিকরা বঞ্চিত। দলিল দস্তাবেজ না থাকায় যখন তখন উচ্ছেদ করা হয় চা শ্রমিকদের। তিনি আরও বলেন, অবিলম্বে ৯ দফা দাবি বাস্তবায়ন করা হোক নতুবা আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে দাবি আদায় করতে বাধ্য করা হবে। উল্লেখ্য, কুলাউড়া ছাড়াও ৯ দফা দাবিতে ঢাকা প্রেসক্লাব, সিলেটের শহীদ মিনার, মাধবপুর, চুনারুঘাট, বাহুবল, হবিগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, শমশেরনগর, মুন্সিবাজার (রাজনগর)সহ মোট ১৩টি স্থানে একযোগে মানববন্ধন করেছে চা শ্রমিকরা।