স্টাফ রিপোর্টারঃ এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার সিলেটে গড় পাসের হার ৬৮.৯১ শতাংশ। কারিগরিতে পাস ৮১.৩৩ শতাংশ, ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৬৬.৮৪ শতাংশ এবং মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৭৭.০২ শতাংশ।
সিলেটে পাসের হার ৭২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭০০ জন শিক্ষার্থী। সিলেট শিক্ষা বোর্ড থেকে এ বছর ৬৫ হাজার ৪ শ ৭৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
এগিয়ে সিলেট, পিছিয়ে মৌলভীবাজার :
সিলেট শিক্ষাবোর্ডের চার জেলার মধ্যে ফলাফলে শীর্ষে রয়েছে সিলেট এবং পিছিয়ে রয়েছে মৌলভীবাজার জেলা। তবে জিপিএ-৫ এর সংখ্যায় সিলেটের পরেই এই জেলার অবস্থান রয়েছে।
সিলেট জেলার অংশ নেয়া ২৬ হাজার ২ শ’ ৭৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২০ হাজার ৫ জন। এদের মধ্যে ছেলে শিক্ষার্থী ৯ হাজার ৩শ’ ৪৩জন ও মেয়ে শিক্ষার্থী ১০ হাজার ৬শ’ ৬৬২ জন। জেলার পাসের হার ৭৬ দশমিক ১৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংখ্যা ৬শ’ ৭জন।
এদিকে, মৌলভীবাজার জেলায় ১৪ হাজার ২শ’ ৯০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করে ৯ হাজার ৪শ’ ৭ জন। এদের মধ্যে ছেলে শিক্ষার্থী ৪ হাজার ১শ’ ৩জন ও মেয়ে শিক্ষার্থী ৫ হাজার ৩শ’ ৪ জন। পাসের হার ৬৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৩ জন।
অন্যদিকে, জেলাভিত্তিক ফলাফলে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সুনামগঞ্জ জেলা। এ জেলার ১১ হাজার ৮শ’ ২৬ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করে ৮ হাজার ৬ শ’ ৬৯ জন। এদের মধ্যে ছেলে শিক্ষার্থী ৩ হাজার ৮শ’ ১৬ ও মেয়ে শিক্ষার্থী ৪ হাজার ৮শ’ ৫৩ জন। জেলার পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩০। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ জন।
তৃতীয় স্থানে হবিগঞ্জ জেলা। ১৩ হাজার ৬শ’ ৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করে ৮ হাজার ৭শ’ ১৬ জন। এদের মধ্যে ছেলে শিক্ষার্থী ৩ হাজার ৭শ’ ৬৮ ও মেয়ে শিক্ষার্থী ৪ হাজার ৯শ’ ৪৮ জন। জেলার পাসের হার ৬৯ দশমিক ১৩। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ জন।
যে গ্রেডে যতোজন পাস :
এ বছর সিলেটে পাসের হার ৭২ শতাংশ। যা গতবছরের থেকে ৩ দশমিক ৪১ শতাংশ বেশি। গতবছর পাসের হার ছিলো ৬৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
তবে গতবারের পাসের হাসের সূচক কিছুটা বাড়লেও এবার কমেছে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা। এবছর জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ৭০০ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ছেলে ৪৫৫ ও মেয়ে ২৪৫ জন। যা গতবারের তুলনায় ৬৩০ টি কম। গতবার জিপিএ-৫ পায় ১ হাজার ৩৩০ জন পরীক্ষার্থী।
প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, সিলেট শিক্ষাবোর্ডে ‘এ’ গ্রেডে পাস করেছে ৪ হাজার ৯২২ জন, ‘এ মাইনাস’ গ্রেডে ৭ হাজার ৯৯৬ জন, ‘বি’ গ্রেডে ১২ হাজার ৩৪১ জন, ‘সি’ গ্রেডে ১৯ হাজার ২৪৮ জন এবং ‘ডি’ গ্রেডে পাস করেছে ১ হাজার ৫৯০ জন শিক্ষার্থী। এছাড়া কৃতকার্য হতে পারে নি ১৮ হাজার ২০৩ জন এবং ১৪ জনকে বহিস্কার করা হয়েছিল।
এবছর মোট ৬৫ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৪৬ হাজার ৭৯৭ জন। এদের মধ্যে ছেলে ২১ হাজার ৩০ ও মেয়ে শিক্ষার্থী ২৫ হাজার ৭৯৭জন।