অনলাইন ডেস্ক:বঙ্গোসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাত হানার আশঙ্কায় চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান ওঠা-নামা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সব ধরনের বিমান ওঠা-নামা বন্ধ থাকবে।
আজ সোমবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন শাহ আমানত বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার রিয়াজুল কবির। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ সকালে আঘাত হানতে পারে, এই আশঙ্কায় বিমানবন্দরে সব ধরনের ফ্লাইট ওঠা-নামা আগামীকাল দুপুর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীকাল পরিস্থিতি দেখার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ঘূর্ণিঘড় মোরা’র কারণে দেশের উপকূলজুড়ে আজ রাত থেকে মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে উপকূল থেকে অধিবাসী ও গবাদি পশু সরানোর কাজ শুরু করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ আরো সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি আজ সন্ধ্যা ৬টায় (২৯ মে) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব দিকে অবস্থান করছিল। এটি আরো ঘণীভূত ও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে কাল মঙ্গলবার সকাল নাগাদ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় মোরা’র অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬২ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের পার্শ্ববর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।