কুলাউড়া প্রতিনিধি :নিজের বসত ভিটা থেকে উচ্ছেদের দুঃচিন্তায় শেষ পর্যন্ত না ফেরার দেশে চলে গেলেন কুলাউড়া উপজোর লুহাইউনি চা বাগানের জগদিশ গোয়লা নামের এক চা শ্রমিক।এমনটাই দাবি নিহতের পরিবারের। এ নিয়ে চা শ্রমীকদের মধ্যে আতঙ্কের পাশাপাশি ব্যপক অসন্তোষ বিরাজ করছে।
২৬ দ্বারার কালো আইনে তাকে উচ্চেদ করা হবে যেনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৬২ বছরের বৃদ্ধা জগদিশ গোয়লা। তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে কাঠ পর্যন্ত দেয়নি চা বাগান কর্তৃপক্ষ। তবে এসব অভিযোগ মানতে নারাজ মালিক কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বংশপরম্পরায় প্রায় শত বছরেরও বেশি সময় ধরে ওই এলাকায় বসবাস করে আসা এসব চা শ্রমিকেদের হঠাৎ উচ্ছেদের হুমকি দেয় চা বাগান কর্তৃপক্ষ।অন্যত্র পুনর্বাসন না করেই কুলাউড়া টু মৌলভীবাজার রাস্তার লুহাইউনি এলাকার প্রধান সড়কের দুপাশের প্রায় ৫০টির বেশি পরিবারেকে বাড়ি ছেড়ে জায়ড়া খালি করতে নিদের্শন দেয় লুহাইউনি চা বাগান কর্তৃপক্ষ।এতে অনেকটা হতাশা বিরাজ করছে চা শ্রমীকদের মধ্যে।
চা শ্রমীক নেতা অজিদৎ কৈরী জানান, চা বাগান কর্তৃপক্ষ খালি জায়গাতে চা বাগান না করে আমাদের থাকার জায়গাতে চারা রোপন করতে চায়। আমরা তাদের সিন্ধান্ত না মানলে ২৬ দ্বারার কালো আইনে উচ্ছেদ করে দিবে বলে হুমকি দেয় বাগান কর্তৃপক্ষ।
এমনকি আমাদের বসত ভিটা না ছাড়লে আমাদের ক্ষেতের জমি বাগান মালিক নিয়ে নিবে বলে জানিয়েছে।
চা- শ্রমীক নেতা জগন্নাত দাস বলেন, এসব জায়গা ছেড়ে দিলে আমরা যাবো কোথায়।
এ ব্যাপারে লুহাইউনি চা বাগানের ম্যানেজার মাহমুদ আলী এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন জানিয়ে বলেন, যেসব জায়গাতে ধান হয় না বিশেষ করে প্রধান সড়কের পাশে এমন জায়গাগুলোতে প্লানটেশন করতে চায় মালিক পক্ষ। এসব জায়গার বিপরীতে চা-শ্রমীকদের রেশন দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ২০ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তারা রেশনও পাচ্ছে।
নিহত চা শ্রমীকের ব্যাপরে বলেন,সেটা আমাদের কোনো কারণে নয়। হতে পারে তীব্র গরমে কোনো সমস্যায় সে মারা গেছে।
কাঠ না দেওয়ার ব্যাপারে ম্যানেজার বলেন, আমরা মানবিক দৃষ্টিতে থেকে তাদের কাঠ দেওয়ার বন্দবস্ত করেছি। কাঠ কাঠতে গিয়ে একটু দেরি হওয়াতে একটি মহল সেটাকে ইস্যু করে ঝামেলা বাধাচ্ছে।
কুলাউড়ায় নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদের ভয়ে মারা গেলেন চা শ্রমিক!
প্রকাশে »বিডি মেইল ডেস্ক
- প্রকাশকাল »
0