'দায়িত্ব পালনে আমি সকলের সহযোগীতা চাই- আরিফুল হক চৌধুরী

'দায়িত্ব পালনে আমি সকলের সহযোগীতা চাই- আরিফুল হক চৌধুরী
নিউজ ডেস্কঃ প্রায় ২৭ মাস পর আজ সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) মেয়ররে দায়িত্ব নিবেন আরিফুল হক চৌধুরী। সকাল ১০ টায় বাসা থেকে নগর ভবনে যাবেন বলে জানিয়েছেন আরিফ।

হত্যা মামলার আসামী হয়ে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বহিস্কৃত হয়েছিলেন এই বিএনপি নেতা। নির্বাচিত হয়েও প্রায় ২৭ মাস দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। অবশেষে সম্প্রতি উচ্চ আদালতের রায়ে মেয়রের দায়িত্ব ফিরে পান আরিফ। গত ৩০ মার্চ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ সংক্রান্ত চিঠিও তার কাছে পৌঁছে।

রোববার দায়িত্ব গ্রহণের কথা জানিয়ে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, দায়িত্ব পালনে আমি সকলের সহযোগীতা চাই। আমি জনগনকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলাম, তা পুরণে কাজ করতে চাই।

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্রে নাম আসার পর ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ এক আদেশে সিসিক মেয়র আরিফকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে।

এই আদেশের বিরুদ্ধে মেয়র আরিফ রিট পিটিশন দায়ের করলে শুনানি শেষে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ গত ১২ মার্চ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট।

২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় দুর্বৃত্তদের গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া। ওই হত্যাকাণ্ডের প্রায় ১০ বছর পর তৃতীয় সম্পূরক চার্জশিটে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিসিক মেয়র আরিফুর হক চৌধুরীকে আসামি করা হয়।

২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জশিট আদালতে গৃহীত হলে ২৮ ডিসেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। আদালত মেয়র আরিফুলের জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় ২০০৪ সালের ২১ জুন সুনামগঞ্জে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় বোমা হামলার ঘটনার দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর পর মেয়র আরিফকে শ্যোন এরেস্ট দেখানো হয়।

দীর্ঘ কারাভোগের পর ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান আরিফুল হক চৌধুরী।

Post a Comment

Previous Post Next Post