স্পোর্টস ডেস্কঃ
শেষ ভরসা হয়ে ছিলেন সাকিব আল হাসান। ৫ উইকেটে ১১৮ রানের পরও তাই আশা
ছাড়ছিল না বাংলাদেশ। কিন্তু দ্রুত রান তোলার চাপে আউট হয়ে গেছেন সাকিবও।
ম্যাচ জয়ের কঠিন সমীকরণটা প্রায় অসম্ভবে রূপ নিল তখন। বাকি ১৬৩ রান তুলবেন
কে?
১১
রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশকে স্বপ্ন দেখাচ্ছিল সাকিব-সৌম্য জুটি।
মাত্র ৭০ বলে ৭৭ রানের এই জুটিতেই পাল্টা আক্রমণ বাংলাদেশের। ১৫ ওভার শেষে
দেখা গেল বাংলাদেশের স্কোর ৮৮/৩। ১৫ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কারও স্কোর ছিল ৮৮!
শুধু একটা উইকেট কম হারিয়েছিল স্বাগতিক দল। সৌম্য সরকার ও সাকিবের
আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের সামনে সেটাকেও বড় কিছু মনে হচ্ছিল না।
১৬তম
ওভারের প্রথম বলটাই ঝামেলা বাধাল। দিলরুয়ান পেরেরার বলে স্টাম্পড হয়ে
ফিরেছেন সৌম্য (৪৪ বলে ৩৮)। অফ স্টাম্পের একটু বাইরে পড়া বলটা সৌম্যর
ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেল দিনেশ চান্ডিমালের কাছে। থমকে দাঁড়াল
বাংলাদেশের ইনিংস। একটু পরে মোসাদ্দেক হোসেন (৯) বোল্ড হয়েছেন সেকুগে
প্রসন্নের সোজা বলে। ১১১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসল বাংলাদেশ।
সাকিব
দুর্দান্ত ব্যাটিং করছিলেন বলেই আশাটা বেঁচে ছিল। ওয়ানডেতে নিজের ৩৪তম
ফিফটি ছুঁয়েছেন মাত্র ৫৫ বলে। ২৮ ওভারে ১৭০ রান তোলা কঠিন হতে পারে, অসম্ভব
তো নয়! মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজরা তো সঙ্গ দিতেই পারেন। কিন্তু
সাকিব অতটা সময় ধৈর্য ধরতে পারলেন না। মোসাদ্দেক ফেরার ৭ বল পরেই
দিলরুয়ানকে কভার দিয়ে উড়িয়ে মারতে চাইলেন। কিন্তু সে চেষ্টা থেমে গেল
দানুশকা গুনাতিলকার হাতে। ৭ চারে ৬২ বলে ৫৪ রান তুলে ফিরেছেন সাকিব।
সাকিব ফিরতেই কার্যত ম্যাচটা শেষ হয়ে গেল। মাহমুদউল্লাহও (৭) সুরঙ্গা লাকমলের বাউন্সারে আত্মসমর্পণ করে এসেছেন দুই ওভার পরে (১২৭/৭)।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের স্কোর ৩৭ওভারে ১৭০/৮ জয় এখনো ১১০ রান দূরে।