ফেসবুকে ধর্মকে নিয়ে কটুক্তি করায় আটক ১

ফেসবুকে ধর্মকে নিয়ে কটুক্তি করায় আটক ১
অনলাইন ডেস্কঃ ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ফেসবুক আইডি থেকে মুসলিম ও ইসলাম ধর্মকে কটুক্তি করে কমেন্টস দেওয়ায় এক হিন্দু ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাত ১১টায় তাকে রায়ের বাজার এলাকা থেকে আটক করে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা দিয়ে গতকাল শনিবার জেল হাজতে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় এলাকায় র্ধমপ্রাণ মুসুল্লীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আঠারবাড়ী ইউনিয়নে রায়বাজার গো-হাটায় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আঞ্চলিক ওলামা পরিষদ কর্র্তৃক আয়োজিত ইসলামী সংগীত সন্ধ্যার আয়োজন করে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, জাগ্রত কবি মুহিব খান। ওই অনুষ্ঠানটির কিছু অংশ আমাদের আঠারবাড়ী নামক পেইজে প্রকাশ করা হয়।
আঠারবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর বনগাঁও গ্রামের মৃত দেবদাস চন্দ্র করের ছেলে তাপস কুমার কর (৪০) নিজ নামের আইডি (তাপস কর) থেকে  প্রকাশিত ওই পেইজে কমেন্টস লিখে “আমরা এবং সকলের জানা মতে এটা কি অনুষ্ঠান? আপনাদের লক্ষ্য কি? ” তার কমেন্টসের বিষয়ে বিভিন্ন আইডি থেকে মন্তব্য আসে। এতে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৮মার্চ থেকে ৩০মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন উস্কানিমূলক ষ্ট্যাটাস লিখতে থাকে। পরে স্থানীয় মুসুল্লীরা এর প্রতিবাদ করলে তাপস কর তার নিজ ফেসবুক আইডি (তাপস কর) থেকে গত শুক্রবার বিকেলে আরেকটি উস্কানিমূলক কমেন্টস লিখে “তোর মাকে যদি কেউ কিছু করে তার মানে তোরা কেন যাও…? তোরা বোরকার পর্দায় কি চালাস…? আমরা কিন্তু বিয়া একটাই করি। তোদের মত ভিক্ষুক ও নডী কোন ধর্মেই নাই?” এতে ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীরা ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনের কাছে শুক্রবার রাতে বিচারের দাবি জানান। পরে ইউপি চেয়ারম্যান তাপস করকে ডেকে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করলে তার সত্যতা স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থী হয়।
কিস্তু উপস্থিত মুসুল্লীরা তার বিচারে ক্ষিপ্ততা প্রকাশ করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে চেয়ারম্যান আঠারবাড়ী (রায়ের বাজার) পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে খবর দিয়ে তাকে সোপর্দ করে। পুলিশ তাকে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে। তার বিরুদ্ধে শুক্রবার রাত ১২.৪৫ টায় এস এই খন্দকার আল মামুন বাদি হয়ে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত আনায় তথ্যপ্রযুক্তি ২০০৬ সংশোধন-২০১৩ এর ৫৭ ধারায় মামলা দায়ের করে। শনিবার দুপুরে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। এই বিষয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে আঠারবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বলেন, তাপস করকে ডেকে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করলে তার সত্যতা স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থী হয় কিন্তু ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করে কমেন্টস দেওয়ায় মুসুল্লীদের উত্তেজনার প্রেক্ষিতে পুলিশ এসে তাপস করকে আটক করে নিয়ে যায়।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) রুহুল আমিন তালুকদার বলেন, ধর্মকে নিয়ে কটুক্তি করে কমেন্টস দেয়ায় তাপস কর কে আটক করে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। সুত্রঃ ময়মনসিংহ প্রতিদিন 

Post a Comment

Previous Post Next Post