ছিন্নমূল শিশুদের ঈদ আনন্দ বাড়িয়ে দিল কুলাউড়ার দুই যুবক


বিশেষ প্রতিনিধিঃ দু'মুঠো খাবারের তাগিদে অন্যের দ্বারস্থ হতে হয়, কেউ খেতে দিলে খায়, না দিলে উপস থাকতে হয়। যারা বছরের স্বাভাবিক সময়ে খালি পেটে খাবার না খেয়ে রাত যাপন করে, তাহলে কি অবস্থা তাদের এই সময়ে! কাজ বা ভিক্ষা সাহায্য হীন করোনার ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় জীবনযাপন করছে, তারা হচ্ছেন পথশিশু আর ভাসমান ছিন্নমূল মানুষ। আমরা অনেকেই ওই অসহায় মানুষদের আমাদের কাছে ঘেষতে দেই না, হয়তো আমরা ভয় পাই যদি হয়ে যায় করোনা।
খাদ্যহীন ঈদ কতটুকু আনন্দের বা কেমন হয় তা হয়তো অনেকেই জানি না বা জানতে চেষ্টা করি না কিন্তু তার ব্যতিক্রম কুলাউড়ার দুই তরুণ নজরুল ইসলাম ইবনে তছির এবং ফাহাদ মাহফুজ চৌধুরী।
২৬ মার্চ হতে করোনায় বাংলাদেশের লকডাউন এর পর থেকে ক্ষুধার্ত মানুষের দুয়ারে দুয়ারে বিনামূল্যে রাতের অন্ধকারে খাবার বিতরণ করে আসছে তারা নিজ উদ্যোগে। ঈদের দিনও তারা পারেননি ঘরে বসে থাকতে বেরিয়ে পড়েছেন পথশিশু আর ছিন্নমূল দের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে। ঈদের দিন এবং তার পরের দিন ৫০ জনেরও বেশি ছিন্নমুল ভাসমান আর পথশিশুদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেন এবং কুলাউড়া রেলস্টেশনে তাদের একত্রিত করে ঈদ উদযাপন করেন। তাদের এই কাজে ওতপ্রোতভাবে কাছে থেকে সহায়তা করেছেন তাদের বন্ধু হায়দার মোহাম্মদ আকবর, শেখ ইফতি, শফি আহমেদ সহ আরো অনেকেই। অসহায়দের জন্য নিজ হাতে রান্না করেন হায়দার মোহাম্মদ আকবর এবং নজরুল ইসলাম ইবনে তাছির।

Post a Comment

Previous Post Next Post