যানজট নিরসনে কুলাউড়া মুক্ত স্কাউট গ্রুপ

বিশেষ প্রতিনিধিঃ কুলাউড়া পৌর শহরে যানজট নিয়ন্ত্রণে ‘কুলাউড়া মুক্ত স্কাউট গ্রুপ’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা শুক্রবার সকাল থেকে রাস্তায় নেমেছেন। সংগঠনটি বলছে, এটা তাঁদের ‘ঈদ সেবা’।
প্রতি বছরের ন্যায় আজ ৩১ মে সকাল ১১ টায় কুলাউড়া মুক্ত স্কাউট গ্রুপ আনুষ্ঠানিক ভাবে সেবা কার্যক্রম শুরু করে। সরেজমিনে দেখা গেছে, কুলাউড়া শহরের ভেতর দিয়ে যাওয়া মৌলভীবাজার-বড়লেখা আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই পাশে বিভিন্ন বিপণিতে ঈদের কেনাকাটা চলছে। শহরের দক্ষিণ বাজার, রেলস্টেশন চৌমোহনী, আউটার ও উত্তর বাজার এলাকায় স্কাউটের সদস্যরা যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। ট্রাফিক আইন মেনে চলতে তাঁরা গাড়ি চালকদের পরামর্শ দিচ্ছেন। এ ছাড়া ফুটপাতে গাড়ি দাঁড় করিয়ে না রাখতেও বলছেন। তাঁদের পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশকেও এ কাজে তৎপর দেখা যায়।

শহরের চৌমোহনা এলাকায় অবস্থিত ব্যবসায়ী বাপ্পী চৌধুরী বলেন, যানজটের কারণে ক্রেতাদের ভোগান্তি হয় বেশি। স্কাউট সদস্যরা মাঠে নামায় যানজট অনেকটা কমে এসেছে।

কুলাউড়া মুক্ত স্কাউট গ্রুপের  সম্পাদক শামসুদ্দিন বাবু বলেন, ঈদে কেনাকাটা করার জন্য উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন শহরের বিপণিগুলোতে ভিড় জমান। এ কারণে এ সময়টাতে যানজটের সৃষ্টি হয় তাই, আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে শহরের ব্যস্ত এলাকায় যানজট নিয়ন্ত্রণে ‘ঈদ সেবা’ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতি দিন সকাল ১০টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত সংগঠনের ৩০ জন সদস্য পালা দিয়ে এ কার্যক্রম চালাবেন। এটা চলবে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত। এ কাজে জনপ্রতিনিধিসহ উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের কর্মকর্তা, সাংবাদিক এবং ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা তাঁদের উৎসাহ জুগিয়েছেন। ২০১৫ সাল থেকে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে তাঁরা এ কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন।

শুক্রবার সকালে আনুষ্ঠানিক ভাবে  এ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইয়ারদৌস  হাসান ও ওসি তদন্ত সঞ্জয় চক্রবর্তী।

অফিসার ইনচার্জ বলেন, শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি স্কাউট সদস্যরা কাজ শুরু করেছেন। আমরা আশা করি যানজট কমিয়ে আনতে পারবো, মুক্ত স্কাউট তাঁদের এ কাজ প্রশংসার দাবি রাখে।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাংবাদিক নাজমুল বারী সোহেল, এস   আই দিদার উল্লাহ, এস আই মাসুদ, এ এস আই ট্রাফিক কাওছার আহমেদ, স্কাউট লিডার জয়নাল আবেদিন, সাগর আহমেদ প্রমুখ।

Post a Comment

Previous Post Next Post